Thursday, June 26, 2014

(GD)জিডি করবেন কীভাবে?

যেকোনো হুমকি বা কোনো কিছু হারিয়ে গেলে জিডি করার কথা সবাই ভাবেন। কিন্তু থানায় গিয়ে কীভাবে জিডি করতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। জিডি হলো সাধারণডায়েরি (জেনারেল ডায়েরি) বা কোনো বিষয়ে সাধারণ বিবরণ।
এই আইনি সহায়তা পেতে একটি বিবরণ লিখিতভাবে থানায় জমা দিতে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক
যেকোনো ব্যক্তি থানায় এটি করতে পারবেন।

যেসব কারণে জিডি করতে পারবেনঃ-
বিভিন্ন কারণে জিডি করা হয়। যেমন কেউ ভয় বা হুমকি দিলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে থানায় জিডি করা হয়ে থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে জিডি করা যায়। এসবের বাইরেও কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেকবই, লাইসেন্স, শিক্ষাসংক্রান্ত সনদ, দলিল ইত্যাদি হারিয়ে গেলেও জিডি করা যায়।

এ ছাড়া কেউ কারও সম্পদের ক্ষতি করলে, প্রাণনাশের হুমকি দিলে, বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে জিডি করা জরুরি। কেননা, সন্দেহভাজন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা হারানো কিছুর জন্য জিডি করা হলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে বা হা খুঁজে পেতে এবং আইনি সহায়তা নিতে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

কোথায় এবং কীভাবে করবেনঃ-
জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সে এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত। নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তবে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় আর জিডি করবেন অন্য থানায়, এমনটি হওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে বা জিডি করতে হয় দরখাস্ত আকারে। দরখাস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে তার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন, হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিয় তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে দেবেন।

যদি কোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না।

তবে মনে রাখবেন, পুলিশ যদি মনে করে যেকোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। জানা জরুরি মনে রাখবেন, জিডি করতে যেকোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাঁকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না।

আবেদনের একটি কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবং অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল লাগিয়ে আপনাকে প্রদান করা হবে এবং জিডিটি নথিভুক্ত হবে। কপিটি আপনি নিজের জন্য সংরক্ষণ করবেন। জিডি হওয়ার পর তা কর্তব্যরত কর্মকর্তা থানার ওসির কাছে পাঠাবেন।

জিডিটি যদি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন বিষয়ে হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে এবং কী ব্যবস্থা নিয়েছে আবেদনকারীকে অবহিত করবে।

Wednesday, June 25, 2014

ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা

ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুসারে যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ছাড়া নিচের ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন: খুন, খুনের চেষ্টা, মারাত্মক আহত, ধর্ষণ, আত্মহত্যায় উৎসাহিত করা, সরকারকর্তৃক অপরাধী, পুলিশের কাজে বাধা, অবৈধ জিনিসপত্র
রাখা ইত্যাদি আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত হিসেবে কারো বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হলে তাকেও পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তর করতে পারবে। এ ধরনের অপরাধ করেছে বলে কারো বিষয়ে পুলিশের যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ হলে সে ব্যক্তিকেও পুলিশ পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করতে পারবে।

তবে পুলিশ যাতে এই ধারার অপব্যবহার না করতে পারে সেজন্য ‘যুক্তিসঙ্গত ও বিশ্বাসযোগ্যতার’ শর্ত
জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও গ্রেপ্তার অনেকের ধারণা পুলিশই শুধু গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা একজন বেসরকারি বা সাধারণ নাগরিক কেবল তখনই এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেবেন যখন তিনি মনে করবেন কোনো ব্যক্তি জামিন অযোগ্য অপরাধ, আমলযোগ্য অপরাধ করেছে, সরকারকর্তৃক অপরাধী। অবশ্য এক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা প্রয়োগকারী নাগরিকের কর্তব্য হলো যতশীঘ্র সম্ভব অপরাধীকে পুলিশ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা।
যদি পুলিশ অফিসারকে না পাওয়া যায় তবে নিকটস্থ থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া।

Tuesday, June 24, 2014

বাংলােদশ সংবিধান এ ধর্মীয় অধিকার।

বাংলােদশ সংবিধান এ ধর্মীয় অধিকার:

রাষ্ট্রধর্ম প্রসঙ্গে:
২ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:
১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,বিলোপ করা হইবে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:
৪১। (১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন  শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান
করিতে হইবে না।

Sunday, June 22, 2014

পিতা মাতার ভরণপোষণ না দিলে জেল জরিমানা।

পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিল ২০১৩" এই আইন মতে, পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা মাতাকে ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য থাকবে; অন্যথায় তা হবে জামিনের অযোগ্য কিন্তু আপোসযোগ্য অপরাধ। খুব দাপুটে যারা, যারা শেকড়কে অস্বীকার করতে খুব পারদর্শী, যারা পিতামাতাকে থোড়াই কেয়ার করে, তাদের জন্য এই আইনটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ বটে। কারণ, ভরণ-পোষণ প্রদানের দাবিতে পিতামাতা যদি আদালত আঙিনায় যান তবে বাপু তোমার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অপেক্ষা করছে। "টাকা নাই"-এই অজুহাত দেখিয়ে পার পাবার চিন্তা করছ?? তা হবে না, তাহলে অনূর্ধ্ব ৩ মাসের জেলজিন্দেগী তোমার কপালে আছে আর কি!!!

হিন্দি সিরিয়াল রপ্ত করা কোন বউ বা সোয়ামি যদি সন্তানকে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দেয় তাহলে তার কপালেও খারাবি আছে বৈকি। সেও একই অপরাধে অভিযুক্ত হবে এবং অভিযুক্ত সন্তানের সাথে তাকেও প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দৌড়াতে হইবে।

শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা- দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী- নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।

গরিব-অসচ্ছল ব্যক্তির জন্য বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা সেবা।

   এ জন্য ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’।
এ আইনের আওতায় প্রণীত হয়েছে বিধিমালা            প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।   এ জন্য ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’।
এ আইনের আওতায় প্রণীত হয়েছে বিধিমালা            প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
   প্রতিটি জেলায় রয়েছে এর জেলা কমিটি। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও
আইনি সহায়তা কমিটি রয়েছে।

কারা আইনি সহায়তা পাবেনঃ
১। যেকোনো অসচ্ছল ব্যক্তি, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে নয়
২। কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম বা কর্মহীন মুক্তিযোদ্ধা, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৭৫ হাজার টাকার বেশি নয়
৩। বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমনব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মা
৪। পাচারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নারী বা শিশু, দুর্বৃত্ত দ্বারা অ্যাসিডদগ্ধ নারী বা শিশু
৫। অসচ্ছল বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্ তা ও দুস্থ নারী
৬। উপার্জনে অক্ষম ও সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধী
৭। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম ব্যক্তি
৮ বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম
৯। আদালত কর্তৃক ঘোষিত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি
১০। জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশকৃত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি যেসব মামলায়

আইনি সহায়তা দেওয়া হয়ঃ
দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলাতেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়। সাধারণত স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে স্বামী বিয়ে করলে স্বামী শারীরিক নির্যাতন করলে, যৌতুক দাবি বা যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, পাচার, অপহরণ, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর আটক বা গ্রেপ্তারসংক্রা ন্ত যেকোনো ফৌজদারি মামলায়
আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেওয়ানি মামলার মধ্যে সন্তানের অভিভাবকত্ব, ভরণপোষণ, দেনমোহর আদায়, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার, দলিল বাতিল, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বণ্টন বা বাঁটোয়ারা, ঘোষণামূলক মামলা ও চুক্তিসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে আইনি সহায়

কীভাবে আবেদন করবেন, কোথায় করবেনঃ
প্রতিটি জেলা আদালতে আইনগত সহায়তা কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ
করে সরাসরি আবেদন করা যাবে। জেলখানায় অবস্থিত কারা কর্মকর্তা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়েও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) অথবা জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও আবেদন ফরম পাওয়া যায়। এই আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা আইনগত
সহায়তা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে এ আবেদন যাচাইয়ের পর আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
   প্রতিটি জেলায় রয়েছে এর জেলা কমিটি। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও
আইনি সহায়তা কমিটি রয়েছে।

কারা আইনি সহায়তা পাবেনঃ
১। যেকোনো অসচ্ছল ব্যক্তি, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে নয়
২। কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম বা কর্মহীন মুক্তিযোদ্ধা, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৭৫ হাজার টাকার বেশি নয়
৩। বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমনব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মা
৪। পাচারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নারী বা শিশু, দুর্বৃত্ত দ্বারা অ্যাসিডদগ্ধ নারী বা শিশু
৫। অসচ্ছল বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্ তা ও দুস্থ নারী
৬। উপার্জনে অক্ষম ও সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধী
৭। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম ব্যক্তি
৮ বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম
৯। আদালত কর্তৃক ঘোষিত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি
১০। জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশকৃত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি যেসব মামলায়

আইনি সহায়তা দেওয়া হয়ঃ
দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলাতেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়। সাধারণত স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে স্বামী বিয়ে করলে স্বামী শারীরিক নির্যাতন করলে, যৌতুক দাবি বা যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, পাচার, অপহরণ, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর আটক বা গ্রেপ্তারসংক্রা ন্ত যেকোনো ফৌজদারি মামলায়
আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেওয়ানি মামলার মধ্যে সন্তানের অভিভাবকত্ব, ভরণপোষণ, দেনমোহর আদায়, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার, দলিল বাতিল, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বণ্টন বা বাঁটোয়ারা, ঘোষণামূলক মামলা ও চুক্তিসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে আইনি সহায়

কীভাবে আবেদন করবেন, কোথায় করবেনঃ
প্রতিটি জেলা আদালতে আইনগত সহায়তা কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ
করে সরাসরি আবেদন করা যাবে। জেলখানায় অবস্থিত কারা কর্মকর্তা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়েও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) অথবা জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও আবেদন ফরম পাওয়া যায়। এই আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা আইনগত
সহায়তা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে এ আবেদন যাচাইয়ের পর আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি আইনি সহায়তা দেও