Thursday, December 18, 2014


ধারা ১৬৫পুলিশ অফিসার কর্তৃক তল্লাশি
ক) যখনই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বা পুলিশ অফিসার তদন্তের সময় যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করে যে, যেই অপরাধ সম্পর্কে তদন্তের জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই অপারধের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিস, তিনি যেই থানার ভারপ্রাপ্ত অথবা তিনি যেই থানার সহিত সংযুক্ত, সেই থানার কোন স্থানে পাওয়া যাইবে এবং তাহার উক্ত অফিসার তাহার মতে অহেতুক বিলম্ব ব্যতীত অন্য কোনভাবে উক্ত জিনিস সংগ্রহ করা যাইবে না, তখন উক্ত অফিসার তাহার উক্তরূপ বিশ্বাসের কারণ ও যেই জিনিসের তল্লাশি করা হইবে, যথাসম্ভব উহার বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত থানার যেকোন স্থান তাহা তল্লাশি করিবেন অথবা তল্লাশি করাইবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, যেই সকল বস্তু ব্যাংকরাস বুকস এভিডেসন্স অ্যাক্ট ১৮৯১ (১৮৯১ সালের ১৮ নম্বর আইন) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংক বা ব্যাংকারের হেফাজতে আছে এবং যাহা কোন ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কোন বিষয় সংবাদ প্রকাশ করিতে পারে ঔ সমস্ত বস্তু সম্পর্কে  কোন অফিসার তল্লাশি করিবেন না করাইবেন না। কিন্তু দায়রা জজের লিখিত পূর্বানুমতি লইয়া দন্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪০৮, ৪০৯, ৪২১ হইতে ৪২৪ করা চলিবে এবং হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্বানমতি লইয়া অন্য মামলায় তল্লাশি করা যাইবে।
খ) পুলিশ অফিসার (১) উপধারা অনুসারে কার্য করিবার সময় সম্ভব হইলে ব্যত্তিগতভাবে তল্লাশি পরিচালনা করিবেন।
গ) যদি তিনি নিজে তল্লাশি পরিচালনা করিতে অসমর্থন হন এবং তল্লাশি করিতে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি সেই সময় উপস্থিত না থাকেন, তাহা হইলে তিনি উহার কারণে লিপিবদ্ধ করিয়া তাহার অধঃস্তন কোন অফিসারকে তল্লাশি করিতে বলিবেন এবং তল্লাশির স্থান ও যথাসম্ভব তল্লাশির জিনিসের বিষয় উল্লেখ করিয়া উক্ত অধঃস্তন অফিসারকে একটি লিখিত আদেশ অর্পণ করবেন এবং অতঃপর উক্ত অধঃস্তন অফিসার এইরূপ জিনিসের জন্য উক্ত স্থান তল্লাশি করিতে পারেন।
ঘ) তল্লাশি পরোয়ানা সম্পর্কে এই কার্যবিধির বিধানসমূহের এবং ১০২ ও ১০৩ ধারায় বর্ণিত তল্লাশি- সম্পর্কিত সাধারণ বিধানসমূহ যথাসম্ভব এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
ঙ) উপরোক্ত (১) উপধারা বা (৩) উপধারা অনুসারে প্রণীত দলিলের কোন নকল অবিলম্বে উক্ত অপরাধ আমলে লইবার ক্ষমতাসম্পন্ন নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটএর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং তল্লাশিকৃত স্থানের মালিক বা দখলকার আবেদন করিলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাহাকে উহার উপর নকল প্রদান করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট কোন বিশেষ কারণবশত বিনামূল্যে উহা সবরবাহ না করিলে তাহাকে উহার জন্য মূল্য দিতে হইবে।

দন্ডবিধিতে প্রতারণা সম্পর্কিত ধারা


ধারা ৪১৫ প্রতারণা

যে ব্যক্তি, কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়া প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে উক্ত ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পন করিতে বা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে সম্মতি দান করিতে প্ররোচিত করে, কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুরূপ ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে এইরূপ কোন কার্য করিতে বা উহা করা হইতে বিরত থাকিতে প্রবৃত্ত করে যে, সে কাজ অনুরূপভাবে ফাঁকি প্রদত্ত না হইলে করিত না বা উহা করা হইতে বিরত থাকিত না এবং যে কার্য বা বিরতি উত্ত ব্যক্তির দেহ, মন সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধন করে বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, সেই ব্যক্তি ‘প্রতারণা’ করে বলিয়া গণ্য হইবে।


ধারা ৪২০ প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পন করিবার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্তি করা

যে ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং তদ্দ্বারা অনুরূপ ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পন করিতে, অথবা কোন মূল্যবান জামানত কিংবা মূল্যবান জামানত রূপান্তরিত হইবার যোগ্য কোন স্বাক্ষরিত বা সীলমোহরকৃত বস্তু প্রস্তুত, পরিবর্তন, অথবা সম্পূর্ণরূপে বা অংশগত বিনষ্ট করিবার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে- যাহার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হইতে পারে- দন্ডিত হইবে এবং তদপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবে।

ফৌজদারী কার্যবিধিতে আদালতের ক্ষমতা

ধারা ২৮। দন্ডবিধির অধীনে অপরাধ:

এই কার্যবিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে দন্ডবিধিতে বর্ণিত যেকোন অপরাধের বিচারঃ

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ, অথবা

(খ) দায়রা আদালত, অথবা

(গ) অন্য কোন আদালত, যে আদালত এইরূপ অপরাধের বিচার করিতে পারেন বলিয়া দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলামে দেখান হইয়াছে, করিতে পারেন।


ধারা ৩১। হাইকোর্ট ও দায়রা জজ যে দন্ড দিতে পারেন:

(১) হাইকোর্ট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।

(২) দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন; তবে এইরূপ কোন জজ মৃত্যুদন্ড দিলে তাহা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ হইবে।

(৩) সহকারী দায়রা জজ মৃত্যুদন্ড অথবা দশ বৎসরের অধিক কারাদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।

(৪) যেই সহকারী দায়রা জজ ৯ ধারায় (৩) উপধারার বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়রা জজ রূপে নিয়োজিত হইয়অছেন বলিয়া গণ্য হন, তিনি মৃত্যুদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩২। ম্যাজিস্ট্রেটগণ যে দন্ড দিতে পারেন:

(১) ম্যাজিস্ট্রেটগণের আদালতসমূহ নিম্নলিখিত দন্ড দিতে পারেন; যথা:

(ক) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত: আইনে অনুমোদিত পরিমাণ নিঃসঙ্গ  অবরোধসহ পাঁচ বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; দশ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা; বেত্রাদন্ড।

(খ) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত: আইনে অনুমোদিত পরিমাণ নিঃসঙ্গ অবরোধসহ তিন বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; পাঁচ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা।

(গ) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত: দুই বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; দুই হাজার টাকার অনধিক জরিমানা।

(২) যেকোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত আইন দ্বারা যেই সকল দন্ডদানের ক্ষমতা লাভ করিয়াছেন, সেই সকল দন্ডের মধ্যে একটির সহিত অপরটি যুক্ত যেকোন আইনসঙ্গত দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩৩। জরিমানা অনাদায়ে ম্যাজিস্ট্রেটগণের কারাদন্ড দেওয়ার ক্ষমতা। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম :

(১) ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, জরিমানা অনাদায়ে এইরূপ অনাদায়ের ক্ষেত্রে আইনে অনুমোদিত পরিমাণ কারাদন্ড দিতে পারেন।

তবে শর্ত থাকে যে :

(ক) কারাদন্ডের মেয়াদ এই কার্যবিধি অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার বাহিরে হইবে না;

(খ) ম্যাজিস্ট্রেট যেই মামলার বিচার করিবেন, তাহাতে মূল দন্ডের অংশ হিসাবে কারাদন্ড দেওয়া হইয়া থাকিলে জরিমানা অনাদায়ে যেই কারাদন্ড দেওয়া হইবে তাহার মোয়াদ ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধের জন্য জরিমানা অনাদায়ে কারাদন্ড হিসাবে ব্যতীত অন্যভাবে যেই কারাদন্ড দিতে পারেন তাহার এক-চতুর্থাংশের অধিক হইবে না।

(২) ৩২ ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট যে সর্বাধিক মেয়াদের মূল কারাদন্ড দিতে পারেন, তাহার সহিত এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত কারাদন্ড যোগ করা যাইতে পারে।


ধারা ৩৩-ক। ২৯-গ ধারাবলে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, মৃত্যুদন্ড বা সাত বৎসরের অধিক কারাদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩৬। ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাধারণ ক্ষমতা:

সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর যথাক্রমে অর্পিত তৃতীয় তফসীলে বর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে। এইরূপ ক্ষমতা তাহাদের “সাধারণ ক্ষমতা” নামে অভিহিত।


ধারা ৩৭। ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর যেই সকল অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্পণ করা যাইতে পারে:

ক্ষেত্রবিশেষ সরকার অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেকোন উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে তাহার সাধারণ ক্ষমতা ব্যতীতও চতুর্থ তফসীলে বর্ণিত সেই সকল ক্ষমতা প্রদত্ত হইতে পারে সেই সকল ক্ষমতা তাহাকে দিতে পারেন।

Wednesday, December 3, 2014

পার্টনারশীপ ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন কি বাধ্যতামূলক?


পার্টনারশীপ ব্যবসার ক্ষেত্রে পার্টনারশীপ আইন-১৯৩২ অনুসারে এই ব্যবসার জন্য রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতমূলক নয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন না করলে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে, ধারা৬৯ অনুসারে উক্ত সমস্যা সমূহ হল:

১।  কোন পার্টনার অন্য পার্টনারের বিরুদ্ধে বা অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তির নামে দেওয়ানী মামলা করতে পারবে না, তবে ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন।

২। ঐ ফার্ম অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তির নামে নিজে বাদি হয়ে মামলা করতে পারবে না।

৩। উক্ত ফার্ম অথবা ফার্মের পার্টনাররা কোন তৃতীয় ব্যক্তির অভিযোগের বিপরীতে পুন-অভিযোগ করতে পারবে না।
যেমন: কোন তৃতীয় ব্যক্তি ফার্মের বিরুদ্ধে মামলা করল যে তিনি এ ফার্মের কাছে ১লক্ষ টাকা পাবেন। তবে ফার্মও উক্ত ব্যক্তির কাঠছ ৩০ হাজার টাকা পাবেন। এ ক্ষেত্রে উক্ত ফার্ম এই মামলার অভিযোগের বিপরীতে পুন-অভিযোগ হিসেবে উক্ত ৩০ হাজার টাকা দাবি করতে পারবে না।


বেনামে ক্রয়কৃত কৃষি জমির মালিক কে হবে?



ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫ধারায় বলা আছে কোন ব্যাক্তি নিজের উপকারার্থে অপরের নামে জমি ক্রয় করতে পারবেন না। যদি ক্রয় করে থাকেন তাহলে রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল অনুসাররে উক্ত জমির মালিক হবেন যার নামে উক্ত দলিল রেজিষ্ট্রী করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উক্ত ক্রেতা এই জমির কোন মালিকানা দাবি করতে পারবে না এবং আদালতে কোনরকম দাবি উথ্থাপন করিতে পারিবেন না। 


আপনি কতটুকু কৃষি জমি নিজের নামে রাখতে পারবেন?



ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৪ধারায় বলা আছে কোন ব্যাক্তি ৬০ বিঘার অধিক কৃষি সম্পত্ততি নিজের নামে রাখতে পারবে না।

যদি কোন ব্যাক্তির নামে ৬০ বিঘার অধিক কৃষি জমি থাকে তাহলে তিনি উত্তরাধিকার, দান, হস্তান্তর বা অন্যকোন উপায়ে নতুন কোন কৃষি জমি অর্জন করতে পারবে না।

কেউ যদি এই ধারা লঙ্গন করে ৬০ বিঘার অধিক কোন কৃষি জমি নিজের নামে রাখেন তাহলে  উক্ত অতিরিক্ত জমি সরকাররে উপর অর্পিত হবে এবং সরকার এর জন্য কোন ক্ষতিপূরন প্রদান করিবেন না।

তবে উক্ত অতিরিক্ত জমি যদি উত্তরাধিকার, দান, হস্তান্তর এই তিন ভাবে পেয়ে থাকেন তাহলে সরকার উক্ত অতিরিক্ত জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার কতৃক গৃহীত জমির পরিমান সর্বোচ্ছ ৫০ বিঘার মধ্যে হলে সরকার উক্ত জমির জন্য বাজার মূল্যের ২০% হারে ক্ষতিপূরণ দিবেন। যদি জমির পরিমান ৫০ বিঘার উর্ধ্বে হয় প্রথম ৫০ বিঘার জন্য ২০% হরে এবং অবশিষ্ট জমির জন্য ১০% হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।