Thursday, December 18, 2014


ধারা ১৬৫পুলিশ অফিসার কর্তৃক তল্লাশি
ক) যখনই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বা পুলিশ অফিসার তদন্তের সময় যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করে যে, যেই অপরাধ সম্পর্কে তদন্তের জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই অপারধের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিস, তিনি যেই থানার ভারপ্রাপ্ত অথবা তিনি যেই থানার সহিত সংযুক্ত, সেই থানার কোন স্থানে পাওয়া যাইবে এবং তাহার উক্ত অফিসার তাহার মতে অহেতুক বিলম্ব ব্যতীত অন্য কোনভাবে উক্ত জিনিস সংগ্রহ করা যাইবে না, তখন উক্ত অফিসার তাহার উক্তরূপ বিশ্বাসের কারণ ও যেই জিনিসের তল্লাশি করা হইবে, যথাসম্ভব উহার বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত থানার যেকোন স্থান তাহা তল্লাশি করিবেন অথবা তল্লাশি করাইবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, যেই সকল বস্তু ব্যাংকরাস বুকস এভিডেসন্স অ্যাক্ট ১৮৯১ (১৮৯১ সালের ১৮ নম্বর আইন) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংক বা ব্যাংকারের হেফাজতে আছে এবং যাহা কোন ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কোন বিষয় সংবাদ প্রকাশ করিতে পারে ঔ সমস্ত বস্তু সম্পর্কে  কোন অফিসার তল্লাশি করিবেন না করাইবেন না। কিন্তু দায়রা জজের লিখিত পূর্বানুমতি লইয়া দন্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪০৮, ৪০৯, ৪২১ হইতে ৪২৪ করা চলিবে এবং হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্বানমতি লইয়া অন্য মামলায় তল্লাশি করা যাইবে।
খ) পুলিশ অফিসার (১) উপধারা অনুসারে কার্য করিবার সময় সম্ভব হইলে ব্যত্তিগতভাবে তল্লাশি পরিচালনা করিবেন।
গ) যদি তিনি নিজে তল্লাশি পরিচালনা করিতে অসমর্থন হন এবং তল্লাশি করিতে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি সেই সময় উপস্থিত না থাকেন, তাহা হইলে তিনি উহার কারণে লিপিবদ্ধ করিয়া তাহার অধঃস্তন কোন অফিসারকে তল্লাশি করিতে বলিবেন এবং তল্লাশির স্থান ও যথাসম্ভব তল্লাশির জিনিসের বিষয় উল্লেখ করিয়া উক্ত অধঃস্তন অফিসারকে একটি লিখিত আদেশ অর্পণ করবেন এবং অতঃপর উক্ত অধঃস্তন অফিসার এইরূপ জিনিসের জন্য উক্ত স্থান তল্লাশি করিতে পারেন।
ঘ) তল্লাশি পরোয়ানা সম্পর্কে এই কার্যবিধির বিধানসমূহের এবং ১০২ ও ১০৩ ধারায় বর্ণিত তল্লাশি- সম্পর্কিত সাধারণ বিধানসমূহ যথাসম্ভব এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
ঙ) উপরোক্ত (১) উপধারা বা (৩) উপধারা অনুসারে প্রণীত দলিলের কোন নকল অবিলম্বে উক্ত অপরাধ আমলে লইবার ক্ষমতাসম্পন্ন নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটএর নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং তল্লাশিকৃত স্থানের মালিক বা দখলকার আবেদন করিলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাহাকে উহার উপর নকল প্রদান করিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট কোন বিশেষ কারণবশত বিনামূল্যে উহা সবরবাহ না করিলে তাহাকে উহার জন্য মূল্য দিতে হইবে।

দন্ডবিধিতে প্রতারণা সম্পর্কিত ধারা


ধারা ৪১৫ প্রতারণা

যে ব্যক্তি, কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়া প্রতারণামূলকভাবে বা অসাধুভাবে উক্ত ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পন করিতে বা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে সম্মতি দান করিতে প্ররোচিত করে, কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুরূপ ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে এইরূপ কোন কার্য করিতে বা উহা করা হইতে বিরত থাকিতে প্রবৃত্ত করে যে, সে কাজ অনুরূপভাবে ফাঁকি প্রদত্ত না হইলে করিত না বা উহা করা হইতে বিরত থাকিত না এবং যে কার্য বা বিরতি উত্ত ব্যক্তির দেহ, মন সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধন করে বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, সেই ব্যক্তি ‘প্রতারণা’ করে বলিয়া গণ্য হইবে।


ধারা ৪২০ প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পন করিবার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্তি করা

যে ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং তদ্দ্বারা অনুরূপ ফাঁকি প্রদত্ত ব্যক্তিকে কোন ব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তি সমর্পন করিতে, অথবা কোন মূল্যবান জামানত কিংবা মূল্যবান জামানত রূপান্তরিত হইবার যোগ্য কোন স্বাক্ষরিত বা সীলমোহরকৃত বস্তু প্রস্তুত, পরিবর্তন, অথবা সম্পূর্ণরূপে বা অংশগত বিনষ্ট করিবার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করে সেই ব্যক্তি যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে- যাহার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হইতে পারে- দন্ডিত হইবে এবং তদপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবে।

ফৌজদারী কার্যবিধিতে আদালতের ক্ষমতা

ধারা ২৮। দন্ডবিধির অধীনে অপরাধ:

এই কার্যবিধির অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে দন্ডবিধিতে বর্ণিত যেকোন অপরাধের বিচারঃ

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ, অথবা

(খ) দায়রা আদালত, অথবা

(গ) অন্য কোন আদালত, যে আদালত এইরূপ অপরাধের বিচার করিতে পারেন বলিয়া দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলামে দেখান হইয়াছে, করিতে পারেন।


ধারা ৩১। হাইকোর্ট ও দায়রা জজ যে দন্ড দিতে পারেন:

(১) হাইকোর্ট বিভাগ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।

(২) দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন; তবে এইরূপ কোন জজ মৃত্যুদন্ড দিলে তাহা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষ হইবে।

(৩) সহকারী দায়রা জজ মৃত্যুদন্ড অথবা দশ বৎসরের অধিক কারাদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।

(৪) যেই সহকারী দায়রা জজ ৯ ধারায় (৩) উপধারার বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়রা জজ রূপে নিয়োজিত হইয়অছেন বলিয়া গণ্য হন, তিনি মৃত্যুদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩২। ম্যাজিস্ট্রেটগণ যে দন্ড দিতে পারেন:

(১) ম্যাজিস্ট্রেটগণের আদালতসমূহ নিম্নলিখিত দন্ড দিতে পারেন; যথা:

(ক) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত: আইনে অনুমোদিত পরিমাণ নিঃসঙ্গ  অবরোধসহ পাঁচ বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; দশ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা; বেত্রাদন্ড।

(খ) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত: আইনে অনুমোদিত পরিমাণ নিঃসঙ্গ অবরোধসহ তিন বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; পাঁচ হাজার টাকার অনধিক জরিমানা।

(গ) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত: দুই বৎসরের অনধিক কারাদন্ড; দুই হাজার টাকার অনধিক জরিমানা।

(২) যেকোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত আইন দ্বারা যেই সকল দন্ডদানের ক্ষমতা লাভ করিয়াছেন, সেই সকল দন্ডের মধ্যে একটির সহিত অপরটি যুক্ত যেকোন আইনসঙ্গত দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩৩। জরিমানা অনাদায়ে ম্যাজিস্ট্রেটগণের কারাদন্ড দেওয়ার ক্ষমতা। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম :

(১) ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, জরিমানা অনাদায়ে এইরূপ অনাদায়ের ক্ষেত্রে আইনে অনুমোদিত পরিমাণ কারাদন্ড দিতে পারেন।

তবে শর্ত থাকে যে :

(ক) কারাদন্ডের মেয়াদ এই কার্যবিধি অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার বাহিরে হইবে না;

(খ) ম্যাজিস্ট্রেট যেই মামলার বিচার করিবেন, তাহাতে মূল দন্ডের অংশ হিসাবে কারাদন্ড দেওয়া হইয়া থাকিলে জরিমানা অনাদায়ে যেই কারাদন্ড দেওয়া হইবে তাহার মোয়াদ ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধের জন্য জরিমানা অনাদায়ে কারাদন্ড হিসাবে ব্যতীত অন্যভাবে যেই কারাদন্ড দিতে পারেন তাহার এক-চতুর্থাংশের অধিক হইবে না।

(২) ৩২ ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট যে সর্বাধিক মেয়াদের মূল কারাদন্ড দিতে পারেন, তাহার সহিত এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত কারাদন্ড যোগ করা যাইতে পারে।


ধারা ৩৩-ক। ২৯-গ ধারাবলে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, মৃত্যুদন্ড বা সাত বৎসরের অধিক কারাদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারেন।


ধারা ৩৬। ম্যাজিস্ট্রেটগণের সাধারণ ক্ষমতা:

সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর যথাক্রমে অর্পিত তৃতীয় তফসীলে বর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে। এইরূপ ক্ষমতা তাহাদের “সাধারণ ক্ষমতা” নামে অভিহিত।


ধারা ৩৭। ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর যেই সকল অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্পণ করা যাইতে পারে:

ক্ষেত্রবিশেষ সরকার অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেকোন উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে তাহার সাধারণ ক্ষমতা ব্যতীতও চতুর্থ তফসীলে বর্ণিত সেই সকল ক্ষমতা প্রদত্ত হইতে পারে সেই সকল ক্ষমতা তাহাকে দিতে পারেন।

Wednesday, December 3, 2014

পার্টনারশীপ ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন কি বাধ্যতামূলক?


পার্টনারশীপ ব্যবসার ক্ষেত্রে পার্টনারশীপ আইন-১৯৩২ অনুসারে এই ব্যবসার জন্য রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতমূলক নয়। তবে রেজিষ্ট্রেশন না করলে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে, ধারা৬৯ অনুসারে উক্ত সমস্যা সমূহ হল:

১।  কোন পার্টনার অন্য পার্টনারের বিরুদ্ধে বা অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তির নামে দেওয়ানী মামলা করতে পারবে না, তবে ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন।

২। ঐ ফার্ম অন্য কোন তৃতীয় ব্যক্তির নামে নিজে বাদি হয়ে মামলা করতে পারবে না।

৩। উক্ত ফার্ম অথবা ফার্মের পার্টনাররা কোন তৃতীয় ব্যক্তির অভিযোগের বিপরীতে পুন-অভিযোগ করতে পারবে না।
যেমন: কোন তৃতীয় ব্যক্তি ফার্মের বিরুদ্ধে মামলা করল যে তিনি এ ফার্মের কাছে ১লক্ষ টাকা পাবেন। তবে ফার্মও উক্ত ব্যক্তির কাঠছ ৩০ হাজার টাকা পাবেন। এ ক্ষেত্রে উক্ত ফার্ম এই মামলার অভিযোগের বিপরীতে পুন-অভিযোগ হিসেবে উক্ত ৩০ হাজার টাকা দাবি করতে পারবে না।


বেনামে ক্রয়কৃত কৃষি জমির মালিক কে হবে?



ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫ধারায় বলা আছে কোন ব্যাক্তি নিজের উপকারার্থে অপরের নামে জমি ক্রয় করতে পারবেন না। যদি ক্রয় করে থাকেন তাহলে রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল অনুসাররে উক্ত জমির মালিক হবেন যার নামে উক্ত দলিল রেজিষ্ট্রী করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উক্ত ক্রেতা এই জমির কোন মালিকানা দাবি করতে পারবে না এবং আদালতে কোনরকম দাবি উথ্থাপন করিতে পারিবেন না। 


আপনি কতটুকু কৃষি জমি নিজের নামে রাখতে পারবেন?



ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৪ধারায় বলা আছে কোন ব্যাক্তি ৬০ বিঘার অধিক কৃষি সম্পত্ততি নিজের নামে রাখতে পারবে না।

যদি কোন ব্যাক্তির নামে ৬০ বিঘার অধিক কৃষি জমি থাকে তাহলে তিনি উত্তরাধিকার, দান, হস্তান্তর বা অন্যকোন উপায়ে নতুন কোন কৃষি জমি অর্জন করতে পারবে না।

কেউ যদি এই ধারা লঙ্গন করে ৬০ বিঘার অধিক কোন কৃষি জমি নিজের নামে রাখেন তাহলে  উক্ত অতিরিক্ত জমি সরকাররে উপর অর্পিত হবে এবং সরকার এর জন্য কোন ক্ষতিপূরন প্রদান করিবেন না।

তবে উক্ত অতিরিক্ত জমি যদি উত্তরাধিকার, দান, হস্তান্তর এই তিন ভাবে পেয়ে থাকেন তাহলে সরকার উক্ত অতিরিক্ত জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দবেন। এ ক্ষেত্রে সরকার কতৃক গৃহীত জমির পরিমান সর্বোচ্ছ ৫০ বিঘার মধ্যে হলে সরকার উক্ত জমির জন্য বাজার মূল্যের ২০% হারে ক্ষতিপূরণ দিবেন। যদি জমির পরিমান ৫০ বিঘার উর্ধ্বে হয় প্রথম ৫০ বিঘার জন্য ২০% হরে এবং অবশিষ্ট জমির জন্য ১০% হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।

Friday, July 4, 2014

মানহানি, মানহানি মামলার প্রক্রিয়া ও সাজা


মানহানি এমন এক ধরনের ধরনের অপরাধ, যেটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় প্রকারের হতে পারে। ফৌজদারি আদালতে মানহানি মামলা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাদ- কিংবা অর্থ দন্ডে দন্ডিত হন। পক্ষান্তরে দেওয়ানি আদালতে মামলা হলে এবং সেই মামলায় বাদি জয়ী হলে বিবাদী থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদায় করতে পারেন।

বাংলাদেশের দ-বিধির ৪৯৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি মানহানির উদ্দেশ্যে বা মানহানিকর জেনে বা পাঠের জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পস্মৃতির সাহায্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোনো নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে, সেই নিন্দাবাদ উক্ত ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করবে, সেই ব্যক্তি কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা ছাড়া উক্ত ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরা হবে।

আইনে এমন কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যখন কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির নামে মানহানিকর কিছু বললে, লিখলে বা প্রচার করলেও দ-বিধির ৪৯৯ ধারার অধীনে মানহানির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হবে না। যেমন_
(১) জনগণের কল্যাণার্থে কারো প্রতি সত্য দোষারোপ করলে, তাতে মানহানি হবে না।
(২) জনগণের প্রতি সরকারি কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে সৎ বিশ্বাসে অভিমত প্রকাশ করলে তা মানহানির শামিল হবে না।
(৩) আদালতসমূহের কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা মানহানির অন্তর্ভুক্ত হবে না।
(৪) যে কোনো জনসমস্যা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে সৎবিশ্বাসে অভিমত প্রকশ করা মানহানির শামিল নয়।
(৫) আদালতে সিদ্ধান্তকৃত মামলার দোষ, গুণ বা সাক্ষীদের সম্পর্কে বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আচরণ সম্পর্কে অভিমত মানহানির পর্যায়ে পড়বে না।
(৬) গণঅনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানাবলি সম্পর্কে কোনো মতামত প্রদান মানহানি নয়।
(৭) কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তির কাছে সৎবিশ্বাসে কারো সম্পর্কে অভিযোগ করা হলে সেটিও মানহানি হবে না। যেমন- পুলিশের কাছে কারো ব্যাপারে সৎ বিশ্বাসে অভিযোগ।
(৮) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার বা অন্য কারো স্বার্থ রক্ষার্থে দোষারোপ করা মানহানি নয়।
(৯) গণকল্যাণার্থে সতর্কতা প্রদানের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে কিছু বলা হলে, সেটিও মানহানি হবে না।

বাংলাদেশের দ-বিধির ৫০০ ধারায় মানহানির শাস্তি বর্ণনায় বলা হয়েছে, এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদ- বা অর্থদ- বা উভয়বিধ দ- হতে পারে। ৫০১ ও ৫০২ ধারা অনুসারে, মানহানিকর বলে পরিচিত বিষয় মুদ্রণ বা খোদাইকরণ সম্পর্কে এবং এর শাস্তি বর্ণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মানহানির জন্য দেওয়ানি মামলাও করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে টাকার পরিমাণে মানহানির পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি সহ  প্রদান করার মাধ্যমে মামলা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আদালত টাকার ডিক্রি দিতে পারেন। এধরনের মামলাকে 'মানহানির মামলা' বলে।

Thursday, June 26, 2014

(GD)জিডি করবেন কীভাবে?

যেকোনো হুমকি বা কোনো কিছু হারিয়ে গেলে জিডি করার কথা সবাই ভাবেন। কিন্তু থানায় গিয়ে কীভাবে জিডি করতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। জিডি হলো সাধারণডায়েরি (জেনারেল ডায়েরি) বা কোনো বিষয়ে সাধারণ বিবরণ।
এই আইনি সহায়তা পেতে একটি বিবরণ লিখিতভাবে থানায় জমা দিতে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক
যেকোনো ব্যক্তি থানায় এটি করতে পারবেন।

যেসব কারণে জিডি করতে পারবেনঃ-
বিভিন্ন কারণে জিডি করা হয়। যেমন কেউ ভয় বা হুমকি দিলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে থানায় জিডি করা হয়ে থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে জিডি করা যায়। এসবের বাইরেও কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেকবই, লাইসেন্স, শিক্ষাসংক্রান্ত সনদ, দলিল ইত্যাদি হারিয়ে গেলেও জিডি করা যায়।

এ ছাড়া কেউ কারও সম্পদের ক্ষতি করলে, প্রাণনাশের হুমকি দিলে, বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে জিডি করা জরুরি। কেননা, সন্দেহভাজন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা হারানো কিছুর জন্য জিডি করা হলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে বা হা খুঁজে পেতে এবং আইনি সহায়তা নিতে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

কোথায় এবং কীভাবে করবেনঃ-
জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সে এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত। নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তবে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় আর জিডি করবেন অন্য থানায়, এমনটি হওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে বা জিডি করতে হয় দরখাস্ত আকারে। দরখাস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে তার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন, হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিয় তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে দেবেন।

যদি কোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না।

তবে মনে রাখবেন, পুলিশ যদি মনে করে যেকোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতে পারে। জানা জরুরি মনে রাখবেন, জিডি করতে যেকোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাঁকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না।

আবেদনের একটি কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবং অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল লাগিয়ে আপনাকে প্রদান করা হবে এবং জিডিটি নথিভুক্ত হবে। কপিটি আপনি নিজের জন্য সংরক্ষণ করবেন। জিডি হওয়ার পর তা কর্তব্যরত কর্মকর্তা থানার ওসির কাছে পাঠাবেন।

জিডিটি যদি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন বিষয়ে হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে এবং কী ব্যবস্থা নিয়েছে আবেদনকারীকে অবহিত করবে।

Wednesday, June 25, 2014

ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা

ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুসারে যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ছাড়া নিচের ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন: খুন, খুনের চেষ্টা, মারাত্মক আহত, ধর্ষণ, আত্মহত্যায় উৎসাহিত করা, সরকারকর্তৃক অপরাধী, পুলিশের কাজে বাধা, অবৈধ জিনিসপত্র
রাখা ইত্যাদি আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত হিসেবে কারো বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হলে তাকেও পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তর করতে পারবে। এ ধরনের অপরাধ করেছে বলে কারো বিষয়ে পুলিশের যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ হলে সে ব্যক্তিকেও পুলিশ পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করতে পারবে।

তবে পুলিশ যাতে এই ধারার অপব্যবহার না করতে পারে সেজন্য ‘যুক্তিসঙ্গত ও বিশ্বাসযোগ্যতার’ শর্ত
জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও গ্রেপ্তার অনেকের ধারণা পুলিশই শুধু গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকও গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা একজন বেসরকারি বা সাধারণ নাগরিক কেবল তখনই এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেবেন যখন তিনি মনে করবেন কোনো ব্যক্তি জামিন অযোগ্য অপরাধ, আমলযোগ্য অপরাধ করেছে, সরকারকর্তৃক অপরাধী। অবশ্য এক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা প্রয়োগকারী নাগরিকের কর্তব্য হলো যতশীঘ্র সম্ভব অপরাধীকে পুলিশ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা।
যদি পুলিশ অফিসারকে না পাওয়া যায় তবে নিকটস্থ থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া।

Tuesday, June 24, 2014

বাংলােদশ সংবিধান এ ধর্মীয় অধিকার।

বাংলােদশ সংবিধান এ ধর্মীয় অধিকার:

রাষ্ট্রধর্ম প্রসঙ্গে:
২ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:
১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,বিলোপ করা হইবে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:
৪১। (১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন  শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান
করিতে হইবে না।

Sunday, June 22, 2014

পিতা মাতার ভরণপোষণ না দিলে জেল জরিমানা।

পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিল ২০১৩" এই আইন মতে, পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা মাতাকে ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য থাকবে; অন্যথায় তা হবে জামিনের অযোগ্য কিন্তু আপোসযোগ্য অপরাধ। খুব দাপুটে যারা, যারা শেকড়কে অস্বীকার করতে খুব পারদর্শী, যারা পিতামাতাকে থোড়াই কেয়ার করে, তাদের জন্য এই আইনটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ বটে। কারণ, ভরণ-পোষণ প্রদানের দাবিতে পিতামাতা যদি আদালত আঙিনায় যান তবে বাপু তোমার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অপেক্ষা করছে। "টাকা নাই"-এই অজুহাত দেখিয়ে পার পাবার চিন্তা করছ?? তা হবে না, তাহলে অনূর্ধ্ব ৩ মাসের জেলজিন্দেগী তোমার কপালে আছে আর কি!!!

হিন্দি সিরিয়াল রপ্ত করা কোন বউ বা সোয়ামি যদি সন্তানকে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দেয় তাহলে তার কপালেও খারাবি আছে বৈকি। সেও একই অপরাধে অভিযুক্ত হবে এবং অভিযুক্ত সন্তানের সাথে তাকেও প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দৌড়াতে হইবে।

শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা- দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী- নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।

গরিব-অসচ্ছল ব্যক্তির জন্য বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা সেবা।

   এ জন্য ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’।
এ আইনের আওতায় প্রণীত হয়েছে বিধিমালা            প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।   এ জন্য ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’।
এ আইনের আওতায় প্রণীত হয়েছে বিধিমালা            প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
   প্রতিটি জেলায় রয়েছে এর জেলা কমিটি। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও
আইনি সহায়তা কমিটি রয়েছে।

কারা আইনি সহায়তা পাবেনঃ
১। যেকোনো অসচ্ছল ব্যক্তি, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে নয়
২। কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম বা কর্মহীন মুক্তিযোদ্ধা, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৭৫ হাজার টাকার বেশি নয়
৩। বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমনব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মা
৪। পাচারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নারী বা শিশু, দুর্বৃত্ত দ্বারা অ্যাসিডদগ্ধ নারী বা শিশু
৫। অসচ্ছল বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্ তা ও দুস্থ নারী
৬। উপার্জনে অক্ষম ও সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধী
৭। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম ব্যক্তি
৮ বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম
৯। আদালত কর্তৃক ঘোষিত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি
১০। জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশকৃত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি যেসব মামলায়

আইনি সহায়তা দেওয়া হয়ঃ
দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলাতেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়। সাধারণত স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে স্বামী বিয়ে করলে স্বামী শারীরিক নির্যাতন করলে, যৌতুক দাবি বা যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, পাচার, অপহরণ, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর আটক বা গ্রেপ্তারসংক্রা ন্ত যেকোনো ফৌজদারি মামলায়
আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেওয়ানি মামলার মধ্যে সন্তানের অভিভাবকত্ব, ভরণপোষণ, দেনমোহর আদায়, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার, দলিল বাতিল, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বণ্টন বা বাঁটোয়ারা, ঘোষণামূলক মামলা ও চুক্তিসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে আইনি সহায়

কীভাবে আবেদন করবেন, কোথায় করবেনঃ
প্রতিটি জেলা আদালতে আইনগত সহায়তা কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ
করে সরাসরি আবেদন করা যাবে। জেলখানায় অবস্থিত কারা কর্মকর্তা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়েও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) অথবা জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও আবেদন ফরম পাওয়া যায়। এই আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা আইনগত
সহায়তা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে এ আবেদন যাচাইয়ের পর আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
   প্রতিটি জেলায় রয়েছে এর জেলা কমিটি। বর্তমানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও
আইনি সহায়তা কমিটি রয়েছে।

কারা আইনি সহায়তা পাবেনঃ
১। যেকোনো অসচ্ছল ব্যক্তি, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে নয়
২। কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম বা কর্মহীন মুক্তিযোদ্ধা, যাঁর বার্ষিক গড় আয় ৭৫ হাজার টাকার বেশি নয়
৩। বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমনব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মা
৪। পাচারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নারী বা শিশু, দুর্বৃত্ত দ্বারা অ্যাসিডদগ্ধ নারী বা শিশু
৫। অসচ্ছল বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্ তা ও দুস্থ নারী
৬। উপার্জনে অক্ষম ও সহায়-সম্বলহীন প্রতিবন্ধী
৭। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অক্ষম ব্যক্তি
৮ বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, যিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অক্ষম
৯। আদালত কর্তৃক ঘোষিত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি
১০। জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশকৃত ‘অসচ্ছল’ ব্যক্তি যেসব মামলায়

আইনি সহায়তা দেওয়া হয়ঃ
দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলাতেই আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়। সাধারণত স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে স্বামী বিয়ে করলে স্বামী শারীরিক নির্যাতন করলে, যৌতুক দাবি বা যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, পাচার, অপহরণ, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর আটক বা গ্রেপ্তারসংক্রা ন্ত যেকোনো ফৌজদারি মামলায়
আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেওয়ানি মামলার মধ্যে সন্তানের অভিভাবকত্ব, ভরণপোষণ, দেনমোহর আদায়, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার, দলিল বাতিল, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি বণ্টন বা বাঁটোয়ারা, ঘোষণামূলক মামলা ও চুক্তিসংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে আইনি সহায়

কীভাবে আবেদন করবেন, কোথায় করবেনঃ
প্রতিটি জেলা আদালতে আইনগত সহায়তা কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ
করে সরাসরি আবেদন করা যাবে। জেলখানায় অবস্থিত কারা কর্মকর্তা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়েও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) অথবা জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও আবেদন ফরম পাওয়া যায়। এই আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা আইনগত
সহায়তা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে এ আবেদন যাচাইয়ের পর আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি আইনি সহায়তা দেও